تفسير ابن كثر - سورة الفاتحة الآية 1 | تواصل | القرآن الكريم

مرحباً بك زائرنا الكريم .. لك حرية الإستفادة والنشر

Surah আল-কিয়ামাহ

বাংলা

Surah আল-কিয়ামাহ - Aya count 56
Facebook Twitter Google+ Pinterest Reddit StumbleUpon Linkedin Tumblr Google Bookmarks Email
يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ ( 1 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 1
হে চাদরাবৃত!
قُمْ فَأَنذِرْ ( 2 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 2
উঠুন, সতর্ক করুন,
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ ( 3 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 3
আপন পালনকর্তার মাহাত্ম্য ঘোষনা করুন,
وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ ( 4 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 4
আপন পোশাক পবিত্র করুন
وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ ( 5 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 5
এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন।
وَلَا تَمْنُن تَسْتَكْثِرُ ( 6 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 6
অধিক প্রতিদানের আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না।
وَلِرَبِّكَ فَاصْبِرْ ( 7 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 7
এবং আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে সবর করুন।
فَإِذَا نُقِرَ فِي النَّاقُورِ ( 8 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 8
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে;
فَذَٰلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ ( 9 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 9
সেদিন হবে কঠিন দিন,
عَلَى الْكَافِرِينَ غَيْرُ يَسِيرٍ ( 10 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 10
কাফেরদের জন্যে এটা সহজ নয়।
ذَرْنِي وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا ( 11 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 11
যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিন।
وَجَعَلْتُ لَهُ مَالًا مَّمْدُودًا ( 12 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 12
আমি তাকে বিপুল ধন-সম্পদ দিয়েছি।
وَبَنِينَ شُهُودًا ( 13 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 13
এবং সদা সংগী পুত্রবর্গ দিয়েছি,
وَمَهَّدتُّ لَهُ تَمْهِيدًا ( 14 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 14
এবং তাকে খুব সচ্ছলতা দিয়েছি।
ثُمَّ يَطْمَعُ أَنْ أَزِيدَ ( 15 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 15
এরপরও সে আশা করে যে, আমি তাকে আরও বেশী দেই।
كَلَّا ۖ إِنَّهُ كَانَ لِآيَاتِنَا عَنِيدًا ( 16 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 16
কখনই নয়! সে আমার নিদর্শনসমূহের বিরুদ্ধাচরণকারী।
سَأُرْهِقُهُ صَعُودًا ( 17 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 17
আমি সত্ত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহণ করাব।
إِنَّهُ فَكَّرَ وَقَدَّرَ ( 18 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 18
সে চিন্তা করেছে এবং মনঃস্থির করেছে,
فَقُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ ( 19 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 19
ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!
ثُمَّ قُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ ( 20 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 20
আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!
ثُمَّ نَظَرَ ( 21 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 21
সে আবার দৃষ্টিপাত করেছে,
ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ ( 22 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 22
অতঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত করেছে ও মুখ বিকৃত করেছে,
ثُمَّ أَدْبَرَ وَاسْتَكْبَرَ ( 23 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 23
অতঃপর পৃষ্ঠপ্রদশন করেছে ও অহংকার করেছে।
فَقَالَ إِنْ هَٰذَا إِلَّا سِحْرٌ يُؤْثَرُ ( 24 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 24
এরপর বলেছেঃ এতো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়,
إِنْ هَٰذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ ( 25 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 25
এতো মানুষের উক্তি বৈ নয়।
سَأُصْلِيهِ سَقَرَ ( 26 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 26
আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ ( 27 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 27
আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি?
لَا تُبْقِي وَلَا تَذَرُ ( 28 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 28
এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না।
لَوَّاحَةٌ لِّلْبَشَرِ ( 29 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 29
মানুষকে দগ্ধ করবে।
عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ ( 30 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 30
এর উপর নিয়োজিত আছে উনিশ (ফেরেশতা)।
وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً ۙ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِينَ آمَنُوا إِيمَانًا ۙ وَلَا يَرْتَابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُونَ ۙ وَلِيَقُولَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَالْكَافِرُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ ۚ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْبَشَرِ ( 31 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 31
আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাই রেখেছি। আমি কাফেরদেরকে পরীক্ষা করার জন্যেই তার এই সংখ্যা করেছি-যাতে কিতাবীরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়, মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীরা ও মুমিনগণ সন্দেহ পোষণ না করে এবং যাতে যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন। এমনিভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে চালান। আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।
كَلَّا وَالْقَمَرِ ( 32 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 32
কখনই নয়। চন্দ্রের শপথ,
وَاللَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ ( 33 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 33
শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়,
وَالصُّبْحِ إِذَا أَسْفَرَ ( 34 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 34
শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়,
إِنَّهَا لَإِحْدَى الْكُبَرِ ( 35 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 35
নিশ্চয় জাহান্নাম গুরুতর বিপদসমূহের অন্যতম,
نَذِيرًا لِّلْبَشَرِ ( 36 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 36
মানুষের জন্যে সতর্ককারী।
لِمَن شَاءَ مِنكُمْ أَن يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ ( 37 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 37
তোমাদের মধ্যে যে সামনে অগ্রসর হয় অথবা পশ্চাতে থাকে।
كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ ( 38 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 38
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী;
إِلَّا أَصْحَابَ الْيَمِينِ ( 39 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 39
কিন্তু ডানদিকস্থরা,
فِي جَنَّاتٍ يَتَسَاءَلُونَ ( 40 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 40
তারা থাকবে জান্নাতে এবং পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
عَنِ الْمُجْرِمِينَ ( 41 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 41
অপরাধীদের সম্পর্কে
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ ( 42 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 42
বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে?
قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ ( 43 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 43
তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না,
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ ( 44 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 44
অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ ( 45 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 45
আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّينِ ( 46 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 46
এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
حَتَّىٰ أَتَانَا الْيَقِينُ ( 47 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 47
আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত।
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ ( 48 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 48
অতএব, সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না।
فَمَا لَهُمْ عَنِ التَّذْكِرَةِ مُعْرِضِينَ ( 49 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 49
তাদের কি হল যে, তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়?
كَأَنَّهُمْ حُمُرٌ مُّسْتَنفِرَةٌ ( 50 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 50
যেন তারা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত গর্দভ।
فَرَّتْ مِن قَسْوَرَةٍ ( 51 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 51
হট্টগোলের কারণে পলায়নপর।
بَلْ يُرِيدُ كُلُّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُؤْتَىٰ صُحُفًا مُّنَشَّرَةً ( 52 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 52
বরং তাদের প্রত্যেকেই চায় তাদের প্রত্যেককে একটি উম্মুক্ত গ্রন্থ দেয়া হোক।
كَلَّا ۖ بَل لَّا يَخَافُونَ الْآخِرَةَ ( 53 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 53
কখনও না, বরং তারা পরকালকে ভয় করে না।
كَلَّا إِنَّهُ تَذْكِرَةٌ ( 54 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 54
কখনও না, এটা তো উপদেশ মাত্র।
فَمَن شَاءَ ذَكَرَهُ ( 55 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 55
অতএব, যার ইচ্ছা, সে একে স্মরণ করুক।
وَمَا يَذْكُرُونَ إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّهُ ۚ هُوَ أَهْلُ التَّقْوَىٰ وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ ( 56 ) আল-কিয়ামাহ - Aya 56
তারা স্মরণ করবে না, কিন্তু যদি আল্লাহ চান। তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী।
Facebook Twitter Google+ Pinterest Reddit StumbleUpon Linkedin Tumblr Google Bookmarks Email


Select language



Select surah


شبكة تواصل العائلية 1445 هـ
Powered by Quran For All version 2
www.al-naddaf.com ©1445h